২০২১ সালের ২২ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নিজের সর্বশেষ সেঞ্চুরিটা করেছিলেন মুমিনুল হক। সেবার তিনি ১২৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর কেটে গেছে দুই বছরের বেশি সময়। দিনের হিসেবে ৭৮৫ দিন।
এই সময়ের মধ্যে ২৬ ইনিংসে তার কোনো সেঞ্চুরি নেই। ফিফটি করেছেন মাত্র তিনটি। ১৫ ইনিংসে দুই অংকে যেতে পারেননি। ‘ডাক’ মেরেছেন ৫টি।
অবশেষে সেই খরা কাটল আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক আজ তিন অংক ছুঁলেন ১২৩ বলে। ইয়ামিন আহমেদজাইকে বাউন্ডারি মেরে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এতে মুমিনুলের টেস্ট সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়াল ১২তে।বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৯৪। লিড হয়েছে ৬৩০ রানের!
১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। গতকালের অপরাজিত দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। প্রথম ঘণ্টা ভালোভাবে কাটালেও এই জুটি ভাঙে ১৭৩ রানে। ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান জাকির হাসান।৯৫ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৭১ রানের সাজানো ইনিংসটির করুণ পরিণতি ঘটে। এরপরই ক্যারিয়ারের চতুর্থ এবং চলতি টেস্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে তিনি খেলেন ১১৫ বল, হাঁকান ১৩টি বাউন্ডারি। মুমিনুল হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন। ২ উইকেটে ২৫৫ রান তুলে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পরও ইনিংস ঘোষণার কোনো লক্ষণ ছিল না। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত আজও ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। ১৫১ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১২৪ রান করে জহির খানের শিকার হন। ভাঙে মুমিনুল হকের সঙ্গে ৮৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। মুশফিকুর রহিমকেও মাত্র ৮ রানে ফেরান জহির খান। ৬৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন মুমিনুল। অধিনায়ক লিটনের সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠে। চা বিরতির আগে বাংলাদেশের স্কোর ছয়শ ছাড়ায়। বিরতি থেকে ফিরে জহির খানকে বাউন্ডারি মেরে ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের ষোড়শ ফিফটি পূরণ করেন লিটন।