ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে ৬৪ হাজার ৭৭০ টন কয়লা নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ভিড়েছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ। পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি জিসিএল পারাডিপ’ নামের জাহাজটি বুধবার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ভিড়েছে। জাহাজটি লম্বায় ২২৯ দশমিক ৯৯ মিটার ও সাড়ে ১২ মিটার ড্রাপ্টের
মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর পর থেকে কয়লা নিয়ে আসা এটি পঞ্চম জাহাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথম ৬৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ২৫ এপ্রিল জেটিতে ভিড়ে এমভি অউসো মারো। এ ছাড়া ১৯ মে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ২২৯ মিটার লম্বা ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের একটি জাহাজ বন্দরে নোঙর করে। ওই মাসে আরও তিনটি জাহাজ কয়লা নিয়ে ভিড়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী বলেন, ‘বুধবার কয়লাবাহী জাহাজটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ভিড়েছে। এটা কয়লা নিয়ে ভেড়া চতুর্থ বড় জাহাজ। তবে এর চেয়ে বড় কোনো জাহাজ এখনো ভিড়েনি। শুরুতে ২৫ এপ্রিল বড় একটি জাহাজ আসে। এরপর মে মাসে আরও চারটি জাহাজ কয়লা নিয়ে মতারবাড়ি আসে।’
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে তৈরি হয়েছে দেশের সবচেয়ে গভীর কৃত্রিম নৌপথ। একের পর বড় জাহাজ ভেড়ানোর মাধ্যমে এই নৌপথের সুবিধা পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
নতুন উৎপাদনে যাওয়া মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি জেটির একটিতে কয়লা খালাস করা হয়। ৩০০ মিটার লম্বা এ জেটিতেই বড় জাহাজগুলো ভিড়ছে। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্য জেটিটি ১১০ মিটারের, এ তেল খালাসের জন্য এই জেটি নির্মাণ করা হয়েছে।