নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের এই তদন্ত কমিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন টীমের আহবায়ক মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সমন্বয়ক সচিব মাহমুদুল হাসান।
এই কমিটিতে রয়েছেন আরও দু’জন অতিরিক্ত সচিবসহ নওগাঁ’র জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমতিয়াজুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল করিম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমান।
এই কমিটি গতকাল সোমবার (২৯ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে নওগাঁ সার্কিট হাউসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। কমিটি পর্যায়ক্রমে সুলতানা জেসমিনের মামা নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম নাজমুল হক মন্টু, ভাই সুলতান মাহমুদ সোহাগ, পুত্র বায়েজিদ হোসেন সৈকত, জেসমিনের ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম, গ্রেপ্তারের প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার রুস্তম আলী এবং সুলতানা জেসমিনের ভাড়া বাসার মালিক দেলোয়ার হোসেন দুলালের স্বাক্ষী গ্রহন করে। অনেকরাত পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় চকদেবপাড়া জনকল্যান স্কুলপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে শহরের কালিতলাস্থ নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে যাচ্ছিলেন জেসমিন। এ সময় তিনি সুস্থ ছিল। দীর্ঘক্ষণ পর হঠাৎ পরিবারের লোকজন সংবাদ পান যে অসুস্থ অবস্থায় তাকে নওগাঁ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের পর অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন বিকেলেই রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ সকালে তার মৃত্যু হয়।