দিনের বেলায় মোটরসাইকেলে ঘুরতেন রাম দা নিয়ে। অনেকে তার নাম বলে শিশুদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতো। অবৈধ সম্পর্কের জন্য তিনি টার্গেট করতেন প্রবাসীর স্ত্রীদের। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে শেষ দিকে ঘুমাতেন ভুট্টার খেতের ভিতরে।
বর্ণনা শুনে কারো মনে হতে পারে সিনেমার গল্প। কিন্তু সিনেমা নয়, এটি বাস্তব ঘটনা।
সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ২২ মামলার আসামি মনির হোসেন ওরফে মনির ডাকাত। এখনও মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা তার ভয়ে মুখ খুলতে চান না।
মনির ছাড়া পেয়ে আবার তাদের উপর হামলা করতে পারেন এই আশঙ্কায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বরুড়ার ঝলম গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মমিনের ছেলে মনির হোসেন (৪০)। বরুড়া ঝলম ও চিতড্ডা ইউনিয়নের হজারপাড়, বেওলাইন, চিতড্ডা, ঝলম, নেয়াপাড়া, ওড্ডা,চাইলচৌঁ এবং পাশের চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডাকাতি, চাঁদাবাজি করতেন মনির। তার বাবাও ছিলেন ডাকাত।
ডাকাতির অভিযোগে তার বাবাকে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেছেন।
ওড্ডা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, অন্যরা রাতের আঁধারে ডাকাতি করে। তবে মনির ডাকাতি করতেন ঘোষণা দিয়ে। তিনি মোটরসাইকেলের সামনে দিনের বেলায় রাম দা নিয়ে ঘুরতেন। অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের জন্য টার্গেট করতেন প্রবাসীর স্ত্রীদের।তার ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারীদের শ্লীলতাহানিতে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। তার গ্রেফতারে খুশি হয়েছেন এলাকার মানুষ। মানুষ চায় তার দীর্ঘ মেয়াদী সাজা হোক।
ঝলম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও চিতড্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, মনির ডাকাতের অত্যাচারে এলাকাসী অতিষ্ঠ ছিল। তিনি জামিনে এসে আবার এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।