পবিত্র রমজানের প্রথম জুমায় ঢল নামে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। মসজিদে মসজিদে বয়ান ও খুতবায় সিয়াম সাধনার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে দেখা গেছে, রমজান মাসের প্রথম জুমায় মুসল্লিরা নিজেদের শপে দেন মহান রবের দরবারে। সিজদায় নত শির, মুখে ছিল মহান আল্লাহর মাহাত্ম্যের ঘোষণা।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নামে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। বায়তুল মোকাররমে জুমার জামাতে অংশ নিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী মানুষ আসা শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেই ভরে ওঠে মসজিদের মূল ভবন। ফলে মসজিদের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় কয়েক শতাধিক মুসল্লি বাইরে নামাজ আদায় করেন।
শুধু বায়তুল মোকাররম নয়, রমজানের প্রথম জুমায় রাজধানীর মসজিদে-মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। কোথাও-কোথাও মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের নামাজের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।
নাজামের শুরুতে জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন খুতবায় রমজানের আমলের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নামাজের পাশাপাশি যাকাত আদায়ের গুরুত্ব ও কারা যাকাতের প্রথম হকদার তা তুলে ধরেন।
মুফতি রুহুল আমীন বলেন, এই মাস হলো কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাস। এই মাসে কোরআন তেলোয়াতের ফজিলত অনেক বেশি। তাই আমাদের উচিত সহীহ্ভাবে এই মাসে বেশি-বেশি কোরআন তেলোয়াত করা।
জাহান্নামে আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই রমজান সবার কাজে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রমজানের তারাবির গুরুত্ব তুলে ধরে মুফতি বলেন, যারা শারীরিক সমস্যাসহ নানা কারণে কোরআন খতমের তারাবি পড়তে পারেন না, তারা সূরা তারাবি পড়বেন। কিন্তু নামাজ বাদ দেবেন না।