ই-কমার্সের নামে দেশে চলছে সর্বনাশা জুয়ার আসর। ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে অনেক তরুণ। তরুণদের ডিজিটাল প্রতারকদের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে ৩৩১টি ওয়েবসাইট সম্প্রতি বন্ধ করেছে সরকার। আরো ৬৯টি নতুন জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করতে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের টেকনিক্যাল কমিটি। অনলাইন জুয়া বন্ধে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে কমিটি।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা সম্প্রতি এই তালিকা নিয়ে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে ই-কমার্স গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের ক্ষেত্রে কারিগরি সমস্যার কথাও বৈঠকে উঠে আসে। যেসব গ্রাহক তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন, তাঁদের শনাক্ত করার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়। অনলাইনে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠিও দিয়েছেন।
যেভাবে প্রতারণা :
দেশি-বিদেশি এসব সাইট বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ডলারসহ বিদেশি মুদ্রার মাধ্যমে জুয়া খেলতে প্ররোচিত করে গ্রাহকদের। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ২০০ ডলারের জন্য টাকা জমা দিলে ৫০০ ডলার ফেরত দেওয়ার লোভ দেখায়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগ করে। ওই এজেন্টরা জুয়ায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের ভার্চুয়াল চিপস সরবরাহ করে। সেই চিপস দিয়ে জুয়া খেলা হয়। কোনো কোনো এজেন্ট আবার স্থানীয় মুদ্রা টাকা গ্রহণ করে বিদেশে থাকা ব্যক্তির মাধ্যমে ডলার সাবমিট করে। আবার এই কাজে বিটকয়েন ব্যবহারের অভিযোগও পাওয়া গেছে।