28 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

এসব বই থেকে কী শিখবে শিক্ষার্থীরা?

লেখক থেকে আরো

অন্যের লেখা চুরি, ভুল তথ্য, ইচ্ছকৃতভাবে ইতিহাস বিকৃতি, মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্য বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদকে অধিক গুরুত্ব দেয়া, বিতর্কিত তত্ত¡, ইসলামবিরোধী ছবি, লেখা দিয়েই প্রকাশ করা হয়েছে নতুন বই। দেশের আলেম-ওলামাদের আপত্তি, দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করে এ বছর থেকে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম বিতর্কিত ছবি ও লেখা, ভুল তথ্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে। ফলে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকেই সারাদেশে চলছে তুমুল বিতর্ক। একে একে চোখে পড়ছে ভুল, বেরিয়ে আসছে লেখা চুরির ঘটনা, অসঙ্গতি, নীতি-নৈতিকতাহীন ও শিশুদের ইসলামবিরোধী কৃষ্টি-কালচার শেখানোর অপকৌশল।

ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশের আলেম-ওলামা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। অথচ অন্যের লেখা চুরি করে বই লেখে তা শুধু স্বীকার করেই দায় সারছেন জাফর ইকবালরা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিতর্কিত এসব বই ছাপিয়ে এখন শিক্ষামন্ত্রীসহ এনসিটিবির কর্তারা বলছেন আগামী বছর সংশোধন করা হবে। অনেকের প্রশ্ন তাহলে এত দীর্ঘ সময় নিয়ে এই কারিকুলাম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অর্থ ব্যয় করে তাহলে কি করল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি? 

আর বছরজুড়ে যে ভুল ও বিতর্কিত বইয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে তার দায় কে নেবে? শিক্ষার্থীদের ক্ষতির জন্যই বা দায়ী হবে কারা? শিক্ষাবিদরা বলছেন, মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির শীর্ষ ব্যক্তিরা অযোগ্যদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা খাতকে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে গেছেন।

সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ডারউইনের তত্ত¡ শেখানো নিয়ে। ইসলামবিরোধী এই তত্ত¡ ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী বইয়ের ১১৪ ও ১১৫ পৃষ্ঠায় ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মানুষ আগে বানর ছিল, আর সেখান থেকেই কালের বিবর্তনে ধাপে ধাপে মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। বইয়ের ১১৪ নং পৃষ্ঠায় শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘খুঁজে দেখি মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস’ ঠিক তার পরের পৃষ্ঠায় অর্থাৎ ১১৫ পৃষ্ঠায় ‘বিভিন্ন সময়ের মানুষ’ শিরোনাম দিয়ে চারটি ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মানুষ আগে মূলত বানর ছিল। আর তার পরেই কয়েকটি ধাপে বানর থেকেই মানুষের আকৃতি রূপান্তরিত হয়েছে।

ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে ডারউইনের তত্ত¡ নিয়ে যে অধ্যায় লেখা হয়েছে সেখানে দেখানো হয়েছে বানর থেকেই মানুষের জন্ম। এই তত্তে¡র কোনো ইসলামিক ব্যাখ্যা বা সত্যতা নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা বলেন, ইসলাম প্রধান দেশে এমন একটি বিতর্কিত বিষয়ে পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে এটা মেনে নেয়ার মতো নয়। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা দাবি করেন আগামী শিক্ষাবর্ষ নয় বরং চলতি বছরেই অবিলম্বে এই বিতর্কিত বিষয় পাঠ্য বই থেকে বাতিল করতে হবে।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ