৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ঋণ আবেদন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় অনুমোদিত হতে পারে। বাংলাদেশ সফররত আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানায়। তবে সেটি ছিল কর্মকর্তা পর্যায়ের ঐকমত্য। তখন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জানিয়েছিলেন, আইএমএফ তিন মাসের মধ্যে এ ঋণের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করবে। সাত কিস্তিতে এই ঋণ দেবে তারা। প্রথম কিস্তির ঋণ দেওয়া হবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আর সর্বশেষ কিস্তির ঋণ পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। আইএমএফের ঋণের সুদহার হবে বাজারদর অনুযায়ী, তাতে গড় সুদহার হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠক করেছেন অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। এর আগে গতকাল রোববার তিনি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফসহ চারজন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতি সারা বিশ্বেই ছাপ ফেলেছে। সে জন্য অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পাওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার যেসব সংস্কারে হাত দিয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। মৌলিক এসব সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতি আইএমএফের ডিএমডি গুরুত্ব আরোপ করেন।
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কোন কোন খাতে সংস্কারে হাত দিয়েছে এবং আইএমএফ তাতে সমর্থন করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্রগুলো জানায়, ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির চিন্তাও আছে সরকারের। রিজার্ভের গণনাপদ্ধতি আইএমএফের চাওয়া অনুযায়ী করা হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম মাসে মাসে সমন্বয় করার ঘোষণাও দিয়েছে সরকার।