দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থায় প্রবেশ করল।
এর আগে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়। সেখান থেকে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হলো। লাল ফিতা কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরীর সবচেয়ে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার প্রথম যাত্রী হবেন।
তবে আজ উদ্বোধন হলেও ‘স্বপ্নের বাহনে’ চড়তে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। মেট্রোরেলে নারী, বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্যে থাকবে বিশেষ সুবিধা। এছাড়া তিন ফুটের কম উচ্চতার শিশুদের ভাড়া লাগবে না। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে এটি।
পুরোদমে চালু হলে মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল দেশের যোগাযোগ ইতিহাসে নতুন সংযোজন।
আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এলাকা জনগণের যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো পথ বাণিজ্যিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা দিচ্ছে।
এর আগে ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।