গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ওয়াজ মাহফিল করতে এসে সলামি বক্তা আবু ত্ব-হা আদনান জনতার তোপের মুখে পড়েছেন। এসময় তিনিসহ তার তিন ব্যক্তিগত সহকারীকে অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তার এক সহকারীকে হেনস্তাও করা হয়।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চে বক্তা আবু ত্ব-হা আদনান ও তার তিন ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা শায়েক আবদুল আলিম, মাওলানা মোজাহিদ ও মাওলানা ফিরোজকে ঘিরে রেখেছেন শ্রোতা ও স্থানীয়রা। এরপর প্রায় আধাঘণ্টা সময় ত্ব-হার ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা।
স্থানীয় মুসল্লি, মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের মোকন্দপুর জামে মসজিদের উদ্যাগে ইসলামি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে প্রধান বক্তা করা হয় আবু ত্ব-হা আদনানকে। গত ৮ নভেম্বর প্রথম দফায় ২০ হাজার টাকা নেন ত্ব-হার ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা শায়েক আবদুল আলিম। বাকি টাকা ওয়াজ শেষে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ শনিবার সকালে শায়েক আবদুল আলিম মসজিদ কমিটিকে জানান, পুরো টাকা ছাড়া তারা ওয়াজে উপস্থিত থাকবেন না। পরে বাধ্য হয়ে আরও ২০ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠায় আয়োজক কমিটি।
মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন শাহিন জানান, গত ৮ নভেম্বর আবু ত্ব-হা আদনান ও তার সহকারী শায়েখ আবদুল আলিমের সঙ্গে মৌখিক চুক্তিবদ্ধ হয় আয়োজক কমিটি। সেখানে ওয়াজের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। ওয়াজ করতে হবে পুরো দুই ঘণ্টা। সেদিন ২০ হাজার টাকা অগ্রিমও নেন ত্ব-হা। শনিবার সকালে দেওয়া হয় আরও ২০ হাজার। ওয়াজের মাঠে উপস্থিত হতেই বাকি ১০ হাজার দেওয়া হয়।
বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বক্তা আবু ত্ব-হার ওয়াজ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পৌনে ৫টায় বক্তব্য শুরু করে সোয়া ৫টায় শেষ করে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ও শ্রোতারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং আরও বক্তব্য দিতে বলেন ত্ব-হাকে। কিন্তু বগুড়ার সোনাতলায় আরেকটি মাহফিল থাকায় তিনি অপারগতা জানান।