দেশটির প্রতিরোধ যোদ্ধা গ্রুপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) সারাদেশে সামরিক বাহিনীর উপর হামলা তীব্র করেছে। গত দুই দিনের সংঘর্ষে ৪৪ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। সাগায়িং, মান্দালয় এবং মাগওয়ে অঞ্চলে এইসব সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৩০ জন জান্তা সেনার একটি দল গ্রামে হামলা চালানোর সময় তারা প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সাগায়িং অঞ্চলের এই গ্রামটির হামলায় পিডিএফ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয় ফায়ার ড্রাগন গ্রুপও। পিডিএফ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র আটজন। এই সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছে।
সংঘর্ষ শুরু হয় কায়াত ইয়ো তো গ্রামে। সকাল সাড়ে সাতটায়। প্রাথমিক হামলায়ই নিহত হয় ১০ জন জান্তা সেনা। এরপর সংঘর্ষের সময় সীমা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো সেনা নিহত হয়। আরেকটি গ্রামে নিহত হয়েছে আরো পাঁচ সেনা। এর মানে মিয়ানমারে এখন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। যেখানে সরকারি সেনারা গ্রামে হামলা চালাতে গেলেই প্রতিরোধের মুখে পড়ছে।
পদাতিক বাহিনী আক্রান্ত হলেই জান্তা বাহিনী হেলিকপ্টার বা বিমান হামলার আশ্রয় নিচ্ছে। তাতে নিরীহ গ্রামবাসীও নিহত হচ্ছে। জান্তা বাহিনী বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। করছে লুটপাট, নির্যাতন, ধর্ষণ সহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কোনো অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না।
জান্তা বাহিনী ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে। তাতে আপাতত এই রাজ্যে যুদ্ধ বন্ধ আছে। ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কোনো সময় এই অস্ত্রবিরতির অবসান হয়ে যেতে পারে। তবে এই রাজ্যে এখনো আরসা উজ্জীবিত আছে।