24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

মেলবোর্নের রোমাঞ্চে কোহলির কাছে হারল পাকিস্তান

লেখক থেকে আরো

ঢেউয়ের তালে একবার পাকিস্তানের দিকে হেলে তো একবার ভারতের দিকে। মোহাম্মদ নেওয়াজ না রবীচন্দ্রন অশ্বিন, পাকিস্তান না ভারত? এমসিজি গ্যালারির ৯০ হাজারের বেশি দর্শকের সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় টিভির সামনে বসা কোটি দর্শক। তবে বিরাট কোহলির অমন বীরত্বের পর ভারত না জিতলে যেন অবিচারই হতো।

শেষ ‘ডুয়ালে’ জিতলেন অশ্বিনই। মিডঅফের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে ভারতকে এনে দিলেন ৪ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়।

যে জয়ের মূল নায়ক কোহলি। পাকিস্তানের ১৫৯ রানতাড়ায় ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। এরপরও যে ম্যাচের শেষ বলে জয়ের হাসি হাসল ভারত, তার কৃতিত্ব কোহলির ৫৩ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের।

এ নিয়ে চতুর্থবার টি–টোয়েন্টিতে ম্যাচের শেষ বলে জিতল ভারত।

এর আগে ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। বাবরের টস হার দিয়ে শুরু। মাঠে নামার পর ভুবনেশ্বর কুমারের দ্বিতীয় বলেই হাতে আঘাত পান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপের প্রথম বলেই আউট অধিনায়ক বাবর। তিন বল পর রানআউট হতে হতে কোনোমতে বেঁচে ফেরেন শান মাসুদ। প্রথম দুই ওভারেই রীতিমতো জেরবার অবস্থা পাকিস্তানের। বিপত্তির অবশ্য সেখানেই শেষ নয়। শুরুতেই হাতে আঘাত পাওয়া রিজওয়ানের ব্যাট যেন আর কথাই শুনছিল না। একের পর এক বল মিস করতে করতে একপর্যায়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন ভুবনেশ্বরের হাতে। ১২ বলে ৪ রান করে শেষ হয় রিজওয়ানের ইনিংস।

রিজওয়ানের আউটে অবশ্য মুল কৃতিত্ব অর্শদীপের। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারে অনেকেই দোষারোপ করেছিলেন বাঁহাতি এ পেসারকে। সেদিন আসিফ আলীর ক্যাচ ছেড়ে যে পরিমাণ ট্রলের শিকার হয়েছিলেন, আরেকবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্তে চরম চাপে থাকার কথা তাঁর। কিন্তু ২৩ বছর বয়সী অর্শদীপ যেন সমালোচনার জবাব দিতেই নেমেছেন এদিন। দারুণ এক ইনসুইংয়ে প্রথম বলেই এলবির ফাঁদে ফেলেছেন বাবরকে। বলে–ব্যাট লাগাতে সংগ্রাম করা রিজওয়ানকে বিভ্রান্ত করেন গতিতে, হুক শট খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন টি–টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান।

রিজওয়ান নেই, বাবরও নেই। ১৫ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান তখন মিডল অর্ডারে তাকিয়ে। যে মিডল অর্ডার গত কয়েকটি সিরিজ ধরে রান না পাওয়ায় তুমুলভাবে সমালোচিত।

মিডল অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানের মধ্যে আবার ইফতিখার আহমেদ ছিলেন মহাচাপে। গত দুই মাস ধরে টানা ১৮ ম্যাচ খেলেছেন। একবারও চল্লিশের ঘরে যেতে পারেননি। ৩৬ টি–টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে তাঁর শেষ এবং একমাত্র পঞ্চাশই সেই ২০১৯ সালের। সিরিজের পর সিরিজ দল যে তাঁকে বহন করে চলেছে, তার মোক্ষম প্রতিদান দেওয়ার সুযোগই ছিল আজ।

সেই সুযোগটাই কাজে লাগালেন ইফতিখার। প্রথম মাসুদের সঙ্গে মিলে মনোযোগ দেন বিপর্যয়ে সামালে। ইনিংসের প্রথম ৮ ওভারের ডটই চলে যায় ৩১ বল। পাকিস্তানের রান ১০ ওভারশেষে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৬০–এ।

ততক্ষণ পর্যন্ত বেশ স্বস্তিতেই ছিল ভারত। কিন্তু পানিপানের সংক্ষিপ্ত বিরতির পরই যেন আড়মোড়া ভাঙেন ইফতিখার–মাসুদ। বিশেষ করে ইফতিখার। ১২তম ওভারে বোলিং করতে আসা অক্ষর প্যাটেলের প্রথম চার বলের তিনটিকেই ছয় বানিয়ে মাঠছাড়া করেন। ওভারের শেষ বলে ৩ রান নিয়ে পূর্ণ করেন ফিফটিও।

পরের ওভারে দ্বিতীয় বলেই অবশ্য মোহাম্মদ শামির বলে এলবিতে কাটা পড়েন ইফতিখার। ৩৪ বলে ৫১ রান করা ইফতিখারের পরপর শাদাব আর হায়দার আলীর উইকেটও পেয়ে যায় ভারত। দুটিই নেন পান্ডিয়া। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নেওয়াজ আর আসিফ আলীও। ১৭ ওভারের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের রান তখন ১২৫। তবে চোট কাটিয়ে ফেরা শাহিন আর হারিসের ছোট্ট দুটি ক্যামিওতে ভর করে দেড় শ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। মাসুদ অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৫২ রানে।

বিস্তারিত আসছে…

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ