22 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সরকারি অফিসের ভেতরেই দালালের ‘অফিস’

লেখক থেকে আরো

কাগজপত্র জমা, নথি খুঁজে বের করা কিংবা দপ্তরের সরকারি নথিতে বড় কর্তার সই- এসব কাজে যাদের থাকার কথা, তারা নেই কর্মমঞ্চে। নতুন ট্রেড লাইসেন্স কিংবা নবায়নের কাজ হাতে তুলে নিতে গিজগিজ করছে দালাল। লাইসেন্স শাখায় কাগজে-কলমে তিনজন সুপারভাইজার থাকলেও দালালদের সঙ্গেই তাঁদের দোস্তি। সরকারি অফিসের ভেতরেই দালালদের ‘অফিস’। ফলে দালালের পকেটে টাকা গেলেই ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়ন- সবই হয়ে যায় নিমেষে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালী অঞ্চল-৩ কার্যালয় ভবনের নিচতলার দৃশ্যপট নিত্যদিন থাকে এমনই। সেখানে টাকার তালে কাজ চলে। টাকার অঙ্ক যত বড়, কাজের সমাধানও তত দ্রুত। টাকা বেশি দিলে দুই দিনের মধ্যে কাজ হয়, না দিলে লাইসেন্স চাপা পড়ে মাসের পর মাস। তবে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে প্রকাশ্যে দালালদের এমন কীর্তি চললেও কর্মকর্তারা সব দেখেও করছেন না দেখার ভান! এই দালাল বিচরণ শুধু মহাখালীর অঞ্চল-৩ কার্যালয়ে নয়, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সব ট্রেন্ড লাইসেন্স শাখারও অভিন্ন ছবি এটি।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের (সিআইপিই) সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপেও ট্রেড লাইসেন্স তৈরি ও নবায়নে ঘুষ কারবারের চিত্র উঠে আসে। জরিপের ফলাফলে নতুন লাইসেন্স তৈরিতে ৩৬.৪ শতাংশ ও নবায়নের ক্ষেত্রে ৩১.৮ শতাংশ দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পায়। ২০২১ সালের মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের এসএমই খাতের ওপর সংস্থা দুটি যৌথভাবে এই জরিপ চালায়।
সিজিএসের কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় দেবনাথ সমকালকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানে ৮০০ প্রতিনিধির মাধ্যমে জরিপ চালিয়েছিলাম। এতে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির এ চিত্র উঠে আসে।’

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ