পুরুষের স্তন ক্যান্সার হয় না– এমন ধারণা ভেঙে দিতে সরব হয়েছেন ব্রিটেনের একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি নিজে এই রোগে আক্রান্ত।
৬৪ বছর বয়সী ডেভ থাকেন ব্রিস্টলে।২০১৫ সালে নিজের জন্মদিন উদযাপনে তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন ফ্লোরিডায়। ওই সময় তিনি টের পান, তার বুকে লিম্ফ বেড়ে উঠছে।
বাড়ি ফিরে দ্রুতই চিকিৎসকের কাছে যান ডেভ । এরপর পরীক্ষা করাতেই তার স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হয়।
নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকে সচেতনতামূলক প্রচারে নামা ডেভ বলেন, “সবার মঙ্গলের জন্য এই প্রচারে অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। লিঙ্গ পরিচয় যাই হোক না কেন, স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা করাতে হবে।”
নিজের শরীরে লিম্ফ দেখা দেওয়ার আগে ডেভের ধারণা ছিল না যে পুরুষের স্তন ক্যান্সার হতে পারে।
সে কথা জানিয়ে বিবিসিকে তিনি বলেন, “আমার ধারণা ছিল না যে পুরুষেরও স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা করা দরকার। তবে আমি এটুকু জানতাম, শরীরে কোনো পরিবর্তন অস্বাভাবিক ঠেকলে তা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। তাই আমি বাড়ি ফিরেই চিকিৎসকের কাছে যাই।
“আমাকে বলা হয়েছিল, এটা চর্বির দানাও হতে পারে। এক সপ্তাহ পর আমি আলট্রাসাউন্ড ও বায়োপসি করাই। তাতে আমার হরমোন রিসেপটিভ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে।”
শুরুতে ডেভ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সন্তানদের কীভাবে জানাবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না।
শেষ পর্যন্ত তিনি মাসটেকটমি, অর্থ্যাৎ স্তন অপসারণ করান। এরপর কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয় তাকে।
ডেভ বলেন, ”ক্যান্সার হওয়ার এই যাত্রায় ইতিবাচক অভিজ্ঞতাও হয় নানা দিক দিয়ে। সাত বছর হয়ে গেছে, আমি সুস্থ আছি। আমি এখনও কিছু ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছি। এসব আমার শরীরে ক্যান্সারের ফিরে আসার সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।”
টিকলড পিংক নামে একটি সচেতনতামূলক প্রচারে অংশ নিয়ে নিজের স্তন ক্যান্সার হওয়া অভিজ্ঞতা জানান ডেভ। এই প্রচারাভিযানের আয়োজকদের মধ্যে ছিল আসডা, ব্রেস্ট ক্যান্সার নাও এবং কোপাফিল।