সব উপহার মুখে হাসি ফোটায় না, বিরক্তিও তৈরি করে। বিশ্বাস না হলে কেভিন ডি ব্রুইনাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন!
জিজ্ঞেস করতে পারেন তাঁর স্বপ্নের ক্লাবের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছিল বা আছে কি না। এখানেও উত্তরটা নেতিবাচকই পাবেন। টানা আট মৌসুম ইতিহাদে কাটিয়ে ডি ব্রুইনা যে সাক্ষাৎ ‘সিটি–জেন’ হয়ে উঠেছেন!
এ সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইউনাইটেডকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে তাঁর দল ম্যানচেস্টার সিটি। আর্লিং হলান্ড আর ফিল ফোডেনের হ্যাটট্রিকে ৬–৩ ব্যবধানে জিতেছেন ডি ব্রুইনারা। গোল না করলেও দুটি গোলে সহায়তা ছিল ৩১ বছর বয়সী বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের। সেদিন ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনার হাতে দেখা গিয়েছিল ইউনাইটেডের একটি জার্সি। সেই জার্সিটি ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। পুরো ম্যাচ বেঞ্চে কাটিয়ে দেওয়া পর্তুগিজ তারকার কাছ থেকে ইউনাইটেডের জার্সিটি চেয়ে নিয়েছেন ডি ব্রুইনা।
সিটির পাঁড় ভক্ত কারও এ নিয়ে আপত্তি থাকলেও থাকতে পারে। তবে ডি ব্রুইনা শুধু রোনালদোর কারণেই জার্সিটি নিয়েছেন, সেটিই দেখা গেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে।
বেলজিয়ামের পডকাস্ট চ্যানেল মিড মিডের এক প্রতিনিধি ডি ব্রুইনার জন্য একটি উপহার নিয়ে যান। উপহার হাতে নেওয়ার আগে পর্যন্ত মুখে হাসি ছিল ডি ব্রুইনার। কিন্তু হাতে নিয়ে মেলে ধরতেই হাসি মিলিয়ে যায় তাঁর। ডি ব্রুইনা বলে ওঠেন, আমি কি এটা পুড়িয়ে ফেলব?
জার্সিটি শুধুই ইউনাইটেডের ছিল না, ছিল ডি ব্রুইনার নাম আর জার্সি নম্বর লেখাও। উপহারদাতা হাসতে হাসতে বলেন—এটা স্বপ্ন। ডি ব্রুইনা উত্তর দেন, বেশির ভাগ স্বপ্নই সত্য নয়। একপর্যায়ে অবশ্য জার্সিটি মেলে ধরে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন ডি ব্রুইনা।
কেউ একজন ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিটি সমর্থকরা ভাইরাল করে দেন। অবশ্য ঘটনাটি কোন সময়ের, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।