30 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

কঠিন সময়ে নবী-রাসুলগণ যে দোয়া পড়তেন

লেখক থেকে আরো

পবিত্র কোরআনে একটি বিশেষ দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তা হলো-

 حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল

অর্থ : আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম তত্ত্বাবধায়ক।

উহুদ যুদ্ধের সময় মুনাফিকরা মক্কাবাসীর শক্তিমত্তা নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে ভয়-ভীতি ছড়াতে থাকে। তখন মুসলিমরা শুধু এ বাক্যটি বলেছিলেন।

পবিত্র কোরআনে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘জখম হওয়ার পরও যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ডাকে সাড়া দিয়েছে তাদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করে এবং আল্লাহভীতি অর্জন করে তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। তাদের মানুষ বলেছিল, তোমাদের বিরুদ্ধে জমায়েত হচ্ছে, তাদের তোমরা ভয় কোরো, কিন্তু এ কথায় তাদের ঈমান সুদৃঢ় হয় এবং তারা বলেছিল, আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম তত্ত্বাবধায়ক।’ (সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ১৭২-১৭৩) 

হাদিসে এসেছে, ইবরাহিম (আ.) ও মুহাম্মদ রাসুল্লাহ (সা.) জীবনের কঠিন সময়ে এই দোয়া পড়েছিলেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল।

এই দোয়াটি ইবরাহিম (আ.) পড়েছিলেন যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই দোয়াটি মুহাম্মদ (সা.) পড়েছিলেন যখন তারা (মদিনার মুনাফিকরা) বলেছিল, তোমাদের বিরুদ্ধে মানুষ জমায়েত হচ্ছে, তাদের তোমরা ভয় কোরো, কিন্তু এ কথায় তাদের (মুমিনদের) ঈমান সুদৃঢ় হয় এবং তাঁরা বলেছিল, আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম তত্ত্বাবধায়ক। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৫৬৩) 

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তে সবাইকে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কিভাবে হাসিখুশি থাকব, অথচ শিঙ্গাওয়ালা শিঙ্গা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন? তিনি মনোযোগ দিয়ে অনুমতি শোনার অপেক্ষায় আছেন।যখন তাকে ফুৎকার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে তখন তিনি ফুৎকার দেবেন। সাহাবিদের জন্য রাসুল (সা.)-এর এই কথা খুবই ভারি মনে হলো। তখন রাসুল (সা.) তাদের বললেন, তোমরা পড়ো, হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল, আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা। (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৩) 

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ