21 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

লেখক থেকে আরো

রাজনীতিতে ফিরছে আবার উত্তেজনা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একযোগে আজ বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে।

একই দিন একই সময়ে বড় দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তৎপর বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে সমাবেশ ছেলে বিএনপির সমর্থকরা আসছেন।

পুলিশ জানায়, এসব কর্মসূচি থেকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন। এছাড়া মতিঝিল ও উত্তরাসহ আশপাশে এলাকায় সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দুষ্কৃতকারী ও সুযোগ সন্ধানীদের বিশৃঙ্খলা-নাশকতার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তৎপরতা রোধে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলমান। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স টিম, ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২৩ শর্তে রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ডিএমপির দেয়া শর্তগুলো হলো-

(১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

(৩) অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

(৪) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

(৫) স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

(৬) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৭) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

(৮) শব্দদূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(৯) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

(১০) অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

(১১) আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(১২) ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন/বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

(১৩) সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

(১৪) সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

(১৫) অনুমোদিত সময়ের মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

(১৬) কোনও অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

(১৭) আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

(১৮) রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

(১৯) উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

(২০) কোনও ধরনের লাঠিসোঁটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।

(২১) আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনও বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

(২২) উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(২৩) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ