‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফার প্রান্তর। এখানে অবস্থিত মসজিদে নামিরার মিম্বর থেকে এরই মধ্যে হজের খুতবা দেয়া শুরু হয়েছে।
ইসলামের মর্মবাণী তুলে ধরে এ বছর হজের খুতবা দিচ্ছেন কাবা শরীফের ইমাম ও সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টায়) শায়খ ইউসুফ বিন মোহাম্মদ হজযাত্রীদের উদ্দেশে খুতবা শুরু করেন।
হজের খুতবা দেয়া হচ্ছে আরবিতে। তবে অনুবাদ করে তা আরো ২০ ভাষায় সম্প্রচার করা হচ্ছে। ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, ফরাসি, ফার্সি, উর্দু, হাউসা, রাশিয়ান, তুর্কি, বাংলা, চীনা, মালয়, সোয়াহিলি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আমহারিক, জার্মান, সুইডিশ, ইতালীয়, মালয়ালম, বসনিয়ান ও ফিলিপিনো।
এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলা ভাষায় হজের খুতবা শোনা যাচ্ছে। এবার খুতবার বাংলা অনুবাদ করছেন আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান ও ড. খলীলুর রহমা। তাদের সাথে আরো রয়েছেন মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব।
মানারাতুল হারামাইন অ্যাপ, আল কুরআন চ্যানেল ও আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে খুতবাটি শোনা যাচ্ছে। এ বছর বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষ লাইভ সম্প্রচারিত খুতবাটি শুনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন হাজীরা এবং মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে সমস্ত রাত অবস্থান করবেন। মিনায় জামরাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করা হয়।
১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছার পর হাজীদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ করতে হয়। প্রথমে মিনাকে ডান দিকে রেখে হাজীরা দাঁড়িয়ে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। দ্বিতীয় কাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করা। অনেকেই মিনায় না পারলে মক্কায় ফিরে গিয়ে পশু কোরবানি দেন। তৃতীয় পর্বে মাথার চুল ফেলে দেয়া। চতুর্থ কাজ তাওয়াফে জিয়ারত।