পবিত্র ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবস সোমবার (২৬ জুন)। কাল থেকে ব্যাংক বন্ধ। ঈদকে ঘিরে কোরবানির প্রস্তুতি থাকে নগরবাসীর। এতে নগদ অর্থের প্রয়োজনে গ্রাহকরা আজ ব্যাংকমুখী।
সকাল থেকে ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় প্রচুর গ্রাহকের উপস্থিতি ছিল। যাদের বেশিরভাগ টাকা উত্তোলন করেছেন, জমার পরিমাণ ছিল খুবই কম। রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখাগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
আবুল হাসনাত নামের এক গ্রাহক সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নগদ উত্তোলন করতে এসেছেন। হাসনাত বলেন, কোরবানি এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের জন্য টাকা উত্তোলন করতে এসেছি।
একই কথা বলেন রূপালী ব্যাংকের গ্রাহক সোহান। তিনি বলেন, ঈদের আগে বাচ্চাদের সালামি ও কোরবানি আছে। ব্যাংক আজকের পর খোলা থাকছে না। তাই বেশি করে টাকা উত্তোলন করার জন্য এসেছি।
অন্যদিকে ঈদের আগে প্রতি বছরই ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে যায়। বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছ ধার করে থাকে। তবে ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও নগদ অর্থের টান পড়ছে না বলে জানান ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের চাহিদা মতো অর্থ সরবরাহ করছে।
তাছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহায় ব্যাংকের ডিজিটাল সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ বন্ধের মধ্যেও এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
সরকার ছুটি একদিন বাড়িয়ে চারদিন করেছে। সে হিসাবে এবার ঈদের ছুটি ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে কোরবানির পশুর হাট সংলগ্ন শাখায় ঈদের আগের দিন রাত দশটা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে পোশাক শিল্প এলাকায়ও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত পরিসরে ব্যাংক লেনদেন হবে।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা বা উপ-শাখা নিজ বিবেচনায় নির্বাচন করে শাখা বা উপ-শাখায় বিশেষ ব্যবস্থায় সোমবার (২৬ জুন) পর্যন্ত বর্ধিত সময়ে অর্থাৎ বিকেল ৫টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে। আর মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত শাখা বা উপ-শাখা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে।