22 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

৫৪৬ রানের জয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রেকর্ড বাংলাদেশের

লেখক থেকে আরো

মিরপুরে সিরিজের একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডে এটি তৃতীয় স্থানে। বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় ছিল ২২৬ রানে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। 

অনেক প্রাপ্তির ম্যাচে আক্ষেপ হয়ে রইল তাসকিন আহমেদের ৫ উইকেট না পাওয়া। শেষ উইকেটটি পেলেই ফাইফারে রূপ নিত। শেষের ব্যাটার জহির খানকে আউটও করেছিলেন। তাসকিন উদযাপনে মাতলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ব্যাটার।

পরের বলে বোল্ড করেন, কিন্তু তীয় আম্পায়ার ‘নো’ বল ডাকেন। শেষ ডেলিভারিতে হাতে বলের আঘাতে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন জহির। বাংলাদেশের জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়।

বাংলাদেশ: ৩৮২ ও ৪২৫/৪ (ইনিংস ঘোষণা), আফগানিস্তান: ১৪৬ ও ১১৫/৯

বড় ব্যবধানে জয় প্রত্যাশিতই ছিল। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ঐতিহাসিক জয়টি তুলে নেয় লিটন দাসের দল। দ্রুত উইকেট পড়তে থাকায় প্রথম সেশনের খেলাও একটু বাড়ানো হয়। লাঞ্চ বিরতিতে আর যেতে হয়নি বাংলাদেশকে।

ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপুটে ক্রিকেট খেলে জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে প্রথমবার ‍মুখোমুখি হয়ে আফগানদের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেটির মধুর প্রতিশোধ তুলল পরের দেখায়।

প্রথম ইনিংসে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগান দলটি। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়ে ৯ রানে শেষের ৫ উইকেট হারিয়ে চারশর আগেই গুটিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ভুল করেনি। ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে আফগানদের সামনে পাহাড় দাঁড় করায়। ৬৬২ রানের অসম্ভব লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রানের লিড বাংলাদেশকে মিরপুর টেস্টে এগিয়ে দেয় অনেকটা। প্রথম ইনিংসে পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরি করে লিড বড় করেন। সেটিকে চূড়ায় নিয়ে যান মুমিনুল হক ও লিটন দাস।

২৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পান মুমিনুল। ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি তারকা। টাইগার অধিনায়ক লিটন অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে।

তার আগে শান্ত ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৪৬। জাকির হাসানের অবদানও কম নয়। শান্তর সঙ্গে বড় জুটির পথ ধরে খেলে যান ৭১ রানের ইনিংস। রানআউট না হলে আরেকটি সেঞ্চুরি হলেও হতে পারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে।

শান্তময় ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ইবাদত হোসেন ৪ উইকেট নিয়ে রাখেন বড় অবদান। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন একটি উইকেট। তাসকিনের ৪ উইকেটের পাশাপাশি শরিফুল ইসলাম নেন তিন উইকেট।

মিরপুরে স্পিনিং উইকেটে টেস্ট খেলার অভ্যস্থতা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসে এই ম্যাচ থেকেই। কোনো পেসার ছাড়াই একাদশ সাজাতেও দেখা যেতো বাংলাদেশকে। এবার ঘাসের উইকেটে তিন পেসার নিয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা পুরোপুরি মিটিয়েছেন ইবাদত-তাসকিন-শরিফুলরা।

ভিন্ন পরিকল্পনায় আফগান-স্পিন যেমন দমিয়ে রাখা গেছে, পেসারদের সুযোগও বেড়েছে। ফলাফল, প্রাপ্তির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে রেকর্ড রানের ব্যবধানে জয়।

১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ইংল্যান্ড হারিয়েছিল ৬৭৫ রানে। টেস্ট ইতিহাসে সেটিই সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়। পরেরটি ১৯৩৪ সালে সেবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬২ রানের ব্যবধানে জয়ের স্বাদ নেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টি জায়গা করে নিল ইতিহাসের পাতায়।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ