28 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের

লেখক থেকে আরো

দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিয়ে করা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত তিনমাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আলোচনাসভায় এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিবের কী বিশ্রি মন্তব্য, বিষাক্ত কথা! কী করে বের হয়? দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন!

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ শব্দ ব্যবহার করার পরও মার্কিন ভিসানীতি এখানে কী করবে- এটাতো সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা।চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যারা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এই ঘটনায় তারা কী ব্যবস্থা নেয়? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে- বিএনপি ও তার দোসররা।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করবে, গ্রেফতার করা হলে বলবেন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে! বিনা বিচারে আটক, অভিযোগের অন্ত নেই।

বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি উপর্যুপুরি আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় মরহুম ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে বলেছিলেন, হাঁটুভাঙ্গা দল। আমাদের হাটু ভাঙ্গেনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, আমাদের ঈমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এদেশের জনগণ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ যাতে আরো কষ্টে নিপতিত হয়। যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সাথে চলতে না পারে। আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে। চক্রান্ত চলছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করছে। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয়জন সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বলা হচ্ছে – বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের, মাথাব্যথা তাদের।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ