নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার পর রাজনীতি মহলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুুল হক এই ধরনের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন। রোববার সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির গুঞ্জন স্রেফ গুজব।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গায়েশ^র চন্দ্র রায় বলেছেন, তাকে মুক্তি দিতে হবে। যদি নির্বাচন বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় তাহলে সেই আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া। অন্য কেউ নয়। তাই সরকারকে ভাবতে অনুরোধ করেছেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। ওনার মুক্তি ছাড়া দেশে গণতন্ত্র ফিরবে না। তাকে বন্দি করে তারা ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। সেটা আগামীতে আর করা সম্ভব হবে না। সরকারের মন্ত্রীরা তো একেক সময় একেক কথা বলছেন। তাদের মধ্যে এক ধরণের অসহিষ্ণু অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বিএনপির ঘনিষ্ঠসূত্রগুলো বলছে, বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করাসহ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সরকারের উপরে প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান কিংবা সংলাপের আগে অবশ্যই দলের চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তির বিষয়টি তাদের কাছে প্রধান শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এ বিষয়টি ইতোমধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছেন বলে জানা গেছে।
তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির গুঞ্জনে এই মুর্হুতে গা ভাসাতে চান না বিএনপির নীতি নির্ধারকরা। তারা মনে করেন রাজপথে আন্দোলনের জোয়ারে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিতে সরকার বাধ্য হবে।