জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করায় চাকরি হারাচ্ছেন টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১২ শিক্ষক। একই সঙ্গে সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতাসহ গৃহীত সব টাকা তাদেরকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা তদন্ত করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৭৮ শিক্ষক জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ে।
মাউশির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব শিক্ষককে চাকুরিচ্যূত করার পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে নেয়া সব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
তাদের মধ্যে টাঙ্গাইলের ১২ শিক্ষকের জন্যও একই সুপারিশ করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলার সুপারিশও করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব মো. সেলিম সিকদার কর্তৃক গত ১৮ মে তারিখে স্বাক্ষরিত তালিকা থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২ শিক্ষক জাল সনদ দেয়ার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন।
তারা হলেন- কালিহাতী উপজেলার কালিহাতী আরএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. ইদ্রিস আলী, একই উপজেলার এলেঙ্গাস্থ শামসুল হক ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ মসলিম উদ্দিন, নাগরপুর যদুনাথপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মো. জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার আনোয়ারা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মাসুদ রানা, ঘাটাইলের সন্ধানপুর গণ-উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মমিনুল ইসলাম, মধুপুরের কালামাঝি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) ইমদাদুল হক, ধনবাড়ীর কদমতলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোছাম্মৎ নুরুন্নাহার, গোপালপুরের নলীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মহসিনুজ্জামান খান, ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) আমিনা আক্তার, মো. রকিবুল হোসেন, মো. তামামুল ইসলাম এবং সখীপুরের রাজাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) ফরিদা ইয়াসমিন।