22 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

স্ত্রী ও সন্তানের জন্য অর্থ ব্যয় ইবাদত

লেখক থেকে আরো

ব্যক্তির উপার্জিত অর্থ নিজে একা ভোগ না করে তা পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন তথা সাধ্যমতো অন্যের জন্য ব্যয় করার তাগিদ দেয় ইসলাম। তবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নীতির প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও স্ত্রী-সন্তানের হক আগে প্রতিষ্ঠিত হবে। স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বামীর।

আল্লাহ বলেন, ‘সচ্ছল ব্যক্তি তার সচ্ছলতা অনুসারে ব্যয় করবে। আর যার রিজিক সীমিত করা হয়েছে, সে ব্যয় করবে আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তা থেকে। আল্লাহ যাকে যতটা দিয়েছেন তার অতিরিক্ত বোঝা তার ওপর চাপান না। আল্লাহ কষ্টের পর সহজ করে দেবেন।

’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৭)

তিনি আরো বলেন, ‘আর জন্মদাতা পিতার দায়িত্ব হলো, ন্যায়সংগতভাবে প্রসূতি মায়েদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৩)

হাকিম ইবনু মুআবিয়াহ আল-কুশাইরি থেকে তার পিতার সূত্রে বলেন, একবার আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের কারো ওপর তার স্ত্রীর কি হক আছে? তিনি বলেন, তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দেবে। তার মুখমণ্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না।

আর তাকে পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪২)

তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের কাউকে যখন আল্লাহ কল্যাণ (সম্পদ) দান করেন তখন সে নিজের এবং তার পরিবারস্থ লোকজনকে দিয়ে (ব্যয়) শুরু করবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮২২)

কারো সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সে যদি তার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করতে কৃপণতা করে তাহলে সে পাপী হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেউ পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে তার ওপর নির্ভরশীলদের রিজিক নষ্ট করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬৯২)

অন্যত্র তিনি আরো বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির পাপের জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে যাদের খোরপোষ তার দায়িত্ব সে তাদের খোরপোষ আটকিয়ে রাখবে।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ