30 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

অপহরণ করে অনলাইনে শিশু বি‌ক্রি করতেন তারা!

লেখক থেকে আরো

মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ করা তিন বছরের একটি শিশুকে ২২ দিন পর গোপালগঞ্জ থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। শিশু সিদ্দিককে অপহরণের পর অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। পরে শিশুর নাম পাল্টে দুই লাখ টাকায় স্ট্যাম্প করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ঢাকা ও গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু অপহরণকারী চক্রের হোতা পীযুষ দম্পতিকে ও শিশুটির ক্রেতাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- অপহরণকারী ব্যক্তি পিযূষ কান্তি পাল (২৯) ও তার সহযোগী স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল (২৫), সুজন সুতার (৩২), পল্লব কান্তি বিশ্বাস (৫২) এবং তার স্ত্রী বেবী সরকার (৪৬)।

আজ শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান।  

ঘটনার বর্ণানায় তিনি বলেন, গত ২৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যানের মনির মিয়ার বাজার সংলগ্ন মো. দেলোয়ার হোসেনের বড় মেয়ে হুমায়রা (৮) ও তার ছোট ছেলে মো. সিদ্দিকসহ (৩) আরো ৭-৮ শিশু কিশোর খেলা করছিল। এ সময় এক ব্যক্তি সব শিশুকে চকলেট খাওয়ায়।

একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেনের বড় মেয়েকে বলে তুমি বাসায় চলে যাও আমি তোমার ভাইয়াকে বাজার থেকে আম কিনে দিব। শিশুটির বড় বোন যেতে না চাইলে তাকে ধমক দিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলে। আর ছোট ভাই তিন বছরের শিশু সিদ্দিককে বাজার থেকে আম কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় হুমায়রা ভয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাসায় চলে যায়।

ভুক্তভোগী শিশুর মা কাজ শেষে বাসায় এলে মেয়ে হুমায়রা বিষয়টি তার মাকে জানায়। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীর মা তার স্বামীকে জানায় এবং আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তারা।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল অপহৃত শিশুটির বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। জিডির পর থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অপহৃত শিশু উদ্ধারে তৎপর হয় র‌্যাব-২।

র‌্যাব-২ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, পর্যালোচনা, বিভিন্ন সোর্স ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে, অপহরণকারী ব্যক্তি পিযূষ কান্তি পাল ও তার সহযোগী স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল। পিযূষ দম্পতি শিশুটিকে বিক্রির জন্য সুজন সুতার নামের ব্যক্তির মাধ্যমে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বেবী সরকার দম্পতির কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ