স্কুলভবনের ছাদে চলে ধান শুকানো কাজ। আর ক্ষেত থেকে কেটে আনা কাঁচা ধান রাখা হচ্ছে নিচতলায়। শুধু তাই নয়, মাঠ দখল করে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। দেখে মনে হয় এটা ধান-খড় শুকানোর কোনো চাতাল। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারছে না মাঠে খেলাধুলা করতে। বিঘ্ন ঘটছে পড়াশোনাতেও।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার মউ গ্রামের ২৭ নম্বর মউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলের জমিদাতা মামুনুর রশীদ নিজের দাবি করেই স্কুলভবনে ধানের কাজে ব্যবহার করছেন। বিষয়টি নিয়ে আগেও এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কাজে আসেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এ মৌসুমে স্কুলের ছাদ ও মাঠ ধানের কাজে লাগায়। মাঠে যেন পা ফেলানোর জায়গা নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ধান ও খড় শুকানোর কাজ চলছে। ফলে শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে, জমিদাতা মামুনুর রশীদ স্কুলভবনটি ধানের কাজে ব্যবহারের কথাও স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সবসময় ধান ওপরে তুলি না। বোরোর সময়েই বেশি ঝামেলা হইলে ছাদে উঠাইয়া শুকাই। আগেও কেউ একজন (টিও) সাহেবের কাছে অভিযোগ করছিল। তারপর আমারে ফোন দিয়ে ডাকলে গেছিলাম। পরে বলছি আমি ধান শুকাই, মেড্যামের কাছে বইলা নিছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে বিদ্যালের প্রধানশিক্ষক আশিস কুমার দে’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।