ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে গাছ থেকে কলার কাঁদি চুরি করে নেওয়ার পর কিছু কলা মালিকের বাড়িতে রেখে গেছে। সঙ্গে ফেলে গেছে একটি চিঠিও। ওই চিঠিতে চুরির জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তবে চুরি নিয়ে বকাঝকা করলে পুনরায় চুরি করারও প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ বিভিন্ন প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আঙিনায় লাগানো গাছের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সর্বশেষ বাউতলা গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।
এ নিয়ে আসমা আক্তার বকাঝকা করেন। এরপর কোনো এক সময় চোরেরা তার বাড়ির বারান্দায় একটি পাকা কলার বড় কাঁদি রেখে যান। একইসঙ্গে তারা একটি চিঠিও ফেলে যান।
ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি।
আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বোঝা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে গ্রামে এসব কারা করছে।