স্কুলশিশু অপহরণ তাদের পেশা। দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে শিশুদের অপহরণ করে আসছে চক্রটি। এ পর্যন্ত ৫০০-৬০০ শিশুর পিতা-মাতার কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর উঠে এসেছে এমন তথ্য।
শুক্রবার (০৫ মে) গাজীপুরের সালনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মিল্টন মাসুদ, মো. শাহীনুর রহমান ও সুফিয়া বেগম।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ও ৫টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের হলি ল্যাবের সামনে থেকে শাহিন শেখ নামে ৬ বছরের একটি শিশু হারিয়ে গেলে উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। জিডির সূত্র ধরে খোঁজ মেলে এ অপহরণ চক্রের।
মোর্শেদ আলম বলেন, চক্রটি মূলত স্কুল-মাদরাসা, বাজার বা রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় একাকী থাকা ৮-১৬ বছর বয়সী শিশুদের টার্গেট করে, যারা পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর বলতে পারে। এ চক্রের মূলহোতা মিল্টন মাসুদ টার্গেটকৃত শিশুর সাথে ভালো ব্যবহার করে। শিশুদেরকে তার বাবার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। তারপর পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০-৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
৫০০ টাকা দিলেও শিশুদের ছেড়ে দিত তারা। অনেক সময় টাকা না দিলেও দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেয়। প্রায় ৬/৭ বছর ধরে চক্রটি ৫০০ থেকে ৬০০ শিশুর পিতা-মাতার কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।