রাজধানীর বঙ্গবাজারে অস্থায়ীভাবে চৌকি পেতে বসতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা৷ ঈদের আগে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং আপাতত দিন যাপন করতে তাদের এই অস্থায়ী বসা।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের খোলা জায়গায় এখন আর কোনো পোড়া স্তূপ নেই।
নেই টিন বা লোহা-লক্কর। বরং সেই জায়গা ইট বিছিয়ে বালু ছিটিয়ে সমতল করা হয়েছে।
আর ১.৭৯ একরের সেই খোলা জায়গায় অস্থায়ী চৌকি বিছিয়ে বসতে শুরু করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। তবে এখনো মাথার ওপর ত্রিপল বা অন্য কিছু দিতে দেখা যায়নি।
এদিন সকাল থেকে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা মাথায় করে চৌকি নিয়ে আসছেন। তারপর বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সেই চৌকি পাতছেন। অগ্নিকাণ্ডের আগে যার যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই চৌকি পেতেছেন তারা। কেউ কেউ চৌকি পাতার সঙ্গে সঙ্গে তাতে বিভিন্ন পোশাক সাজিয়ে বেচা-বিক্রিও শুরু করছেন। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সেটি তদারকি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব চৌকি কিনে এনেছেন তারা। একেকটি চৌকির আয়তন লম্বায় পাঁচ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে তিন ফুট। মানভেদে একেকটি চৌকির দাম পড়েছে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। একজন ব্যবসায়ীকে আপাতত একটি চৌকি বসাতে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটে দুই হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আপাতত দুই হাজার ৯৬১টি চৌকিই বসার পরিকল্পনা তাদের। যাতে কোনো ব্যবসায়ী বঞ্চিত না হন।