ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রস্তুতির লক্ষ্য হিসেবে বঙ্গবাজারের ১.৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে।
পুরো এলাকায় প্রায় ২.৫ লক্ষ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে জানা গেছে। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ এর তত্ত্বাবধানে, করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এছাড়াও গতকাল সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত ১০৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনো বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, এ কমপ্লেক্সের নিচতলার ব্যবসায়ীদের জন্য বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে ওই অস্থায়ী দোকান (চৌকি) বরাদ্দ দেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুনে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে যায়। আগুনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।