টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে শশুর বাড়ির ওয়ারিশের জন্য শাশুরি সামনেই স্ত্রী সুমিতা বেগমকে (৪০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মিনজু মিয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ঘাতক স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে দেলদুয়ার উপজেলার কুপাখী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘাতট মিনজু মিয়া ওই গ্রামের মৃত আজগর মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কুপাখী গ্রামের মৃত আজগর মিয়ার ছেলে মিনজু মিয়ার সাথে প্রায় ২৫ বছর আগে একই জেলার মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের মেয়ে সুমিতার (৪০) বিয়ে হয়। দীর্ঘ সংসার জীবনে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি মিনজু মিয়া শ্বশুর বাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি নিতে স্ত্রীকে চাপ দেন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ বাদতো। কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে এ নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দিয়েছিলেন মিনজু। শনিবার কৌশলে ভগ্নিপতি আমির হোসেনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে বলেন মিনজু। পরে সুমিতা তার বোন ববিতা ও মা হালিমাকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার স্বামীর বাড়িতে আসেন। রাত ২টার দিকে আবার সম্পত্তি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি ও শ্যালিকার সামনে মিনজু ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে সুমিতাকে হত্যা করেন। এসময় বাঁধা দিতে গিয়ে সুমিতার মা হালিমা ও বোন ববিতা আহত হন।
নিহত সুমিতার বোন জামাই শরীফ মিয়া জানান, শ্বশুর বাড়ীর ওয়ারিশের সম্পত্তির জন্য প্রায়ই মিনজু মিয়া সুমিতা বেগমকে মারধর করতো। শনিবার রাতেও একই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে মিনজু মিয়া সুমিতা বেগমকে মেরে ফেলে।
সুমিতার মা হালিমা বেগম বলেন, মেয়েকে আমার সামনেই কুপিয়ে হত্যা করল। আমি কিছুই করতে পারলাম না। আমার মেয়ের চিৎকারে কেউ এগিয়ে এলো না। ওয়ারিশের সামান্য কিছু টাকার জন্য মিনজু আমাদের তিন জনকেই হত্যা করতে চেয়েছিল।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, সুমিতা বেগমের খুনের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বোন ববিতা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।