ফর্মহীনতা, ইনজুরি, দল থেকে বাদ পড়ার কষ্টকর সময়গুলো কাটিয়ে তাসকিন আহমেদ এখন দেশের সেরা পেসার। তার গতি, বৈচিত্র্য আর বুদ্ধির প্রয়োগ ইতিমধ্যে ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে যাওয়া ইংলিশরাও তাসকিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে শুধু বোলিং নয়, বেশি কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে ব্যাট হাতেও দলে দারুণ অবদান রাখছেন এই তরুণ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচটাই ধরা যাক। ১৭.৫ ওভারে আফিফ হোসেন আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ১৩ রান! স্বীকৃত ব্যাটার বলতে একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেবে কে? উইকেটে পাঠানো হলো তাসকিনকে। যিনি শুধু সঙ্গই দিলেন না, ক্রিস জর্ডানকে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে ৭ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করে ফেললেন! তাসকিনের স্রেফ ৩ বলে ৮* রানের ছোট্ট কিন্তু ভীষণ কার্যকর ক্যামিওতে বাংলাদেশ জিতে গেল।
প্রবল চাপের মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরপর দুটি বাউন্ডারি মারা চাট্টিখানি কথা নয়। তাসকিনের মাঝে সেই ম্যাচিউরিটি দেখা যাচ্ছে ইদানীং। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ১৪ এবং ২১ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন তাসকিন। যেগুলো দলের স্কোরে অবদান রাখছিল। বিশ্বের অনেক দেশই টেল এন্ডারদের থেকে রান পেলেও বাংলাদেশে এই আশা করার বাস্তবতা নেই। তাসকিন যদি সেই জায়গাটা পূরণ করে দিতে পারেন, সেই সঙ্গে হয়ে উঠতে পারেন ফিনিশার; তাহলে তা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সুখবর।