বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে মারধর করে কক্ষের দখল নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর থেকে ঐ রুম দখলের চেষ্টা করে ছাত্রলীগ নেত্রী সাইমুনের অনুসারীরা। জোর করে সিট চেঞ্জ করে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে তারা। পরে রাত ১০ টার সময়ে আবার আসে তারা, এসময় তাদের সঙ্গে রুমে থাকা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নাম লাইজু আফরিন। তিনি কলেজের ২০১৭-১৮ সেশনের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী। লাইজু এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুনকে অভিযুক্ত করেছেন। এসময় তার সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের আরও একাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
লাইজু জানান, তার কক্ষে আরও কয়েকজন মেয়ে রয়েছেন। তাদেরকে কক্ষ থেকে সরিয়ে সেখানে অন্য মেয়েদের রাখতে চান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুন। এজন্য সাইমুন তার (লাইজু) ব্যাগ ও জামা-কাপড় বের করে দিয়েছেন।
লাইজু বলেন, আমার ব্যাগ ও জামা-কাপড় বের করে দিয়ে আমার রুম দখল করার চেষ্টা চলছে। আমার রুমে তার (সাইমুন) মেয়েরা এখনো আছে। আমার রুমটা পুরো তছনছ করে ফেলছে। আমি ভিডিও করার সময় আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে। মোবাইল নিতে চায়, কিন্তু নিতে পারে নাই।
তিনি বলেন, এসময় শাহিনা এবং তন্বীসহ আরও তিনজন আমাকে প্রথমে সজোরে ধাক্কা মেরেছে এবং মারধর করেছে। আমি হলের দোতলা থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছি, কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।
পরে ঘটনাস্থলে যান চকবাজার থানা পুলিশ। এ বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাইউম বলেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছেন—তারা বিষয়টি দেখছেন।’
হাবীবা আক্তার সাইমুম বলেন, ‘ রুম শিফটের ব্যাপার প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরে পড়ে, হয়তো সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি এর সঙ্গে যুক্ত নই।’