বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় আবারও এক নম্বরে উঠে এসেছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। সোমবার ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার রিয়েল টাইম ইনডেক্স চার্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৮৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসা ফরাসি বিলাসপণ্য কনগ্লোমারেট লুই ভূঁইতো (এলভিএমএইচ)-এর চেয়ারম্যান ও সিইও বার্নাড আর্নল্ডের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৮৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছর মাস্কের টুইটার কেনার প্রসঙ্গে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর এ বিতর্কের সরাসরি প্রভাব পরে মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে। যার ফলে অল্প সময়েই শেয়ারবাজারে বড় অংকের অর্থ খুইয়েছিলেন মাস্ক। তবে ২০২৩ সালে প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় ইতিবাচক ধারায় আবারও শেয়ারবাজারে সুবিধাজনক অবস্থায় ফিরছেন টেসলার সিইও।
বর্তমানে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭ বিলিয়ন ডলার হলেও বছর দেড়েক আগেও প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে! ঐ সময়ের হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের মালিক, ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি ছিল।
কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টুইটারসহ নানা ইস্যুতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ নেমে আসে মাত্র ১৩৭ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ২০০ মিলিয়ন সম্পদ খুইয়েছেন তিনি। এত কম সময়ে এত বেশি সম্পদ হারানোর রেকর্ড মাস্ক ছাড়া আর কারোই নেই।
শুধু টেসলা নয়, বরং টুইটারের সিইও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবরে বহু নাটকীয়তার পর ৪৪০০ কোটি ডলারে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি কিনে নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি মাস্ক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ টুইটারে নতুন সিইও নিয়োগ দেবেন তিনি।