সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা ওয়ার্দ শরেইত। ভূমিকম্প তাণ্ডবের তিন সপ্তাহ পর সে আবারও স্কুলে যেতে পারছে।
স্কুলে ফিরতে পারার খুশির কথা আল জাজিরাকে জানায় ১০ বছর বয়সী ওয়ার্দ। সে বলে, ‘আমি স্কুলে ফিরতে পেরে খুশি।
কারণ আমি আমার বন্ধুদের দেখা পেয়েছি। ’
ভূমিকম্পে নিজের পরিবারের কোনো সদস্যকে না হারালেও ওয়ার্দের এক সহপাঠী মারা গেছে।
সে বলে, ‘আমি দুঃখিত ছিলাম যে, আমার ওই বন্ধু স্কুলে ছিল না। আমি তাকে আর কখনো দেখতে পাব না। আমরা একে অপরের সঙ্গে খেলাধুলা করতাম। ’
হারিম বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহমদ শেখ আহমদ। তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি মহড়া ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার ও রোববার শেষের দুটি ক্লাস এ মহড়া সম্পর্কে জানার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই মহড়ায় আমরা শিক্ষার্থীদের শিখিয়েছি যে, ‘যদি তারা সাইরেন শুনতে পায়, তাহলে যেন অবশ্যই স্কুলের খেলার মাঠের দিকে সুশৃঙ্খল ও শান্তভাবে এগিয়ে যায়। ’
‘যদি এটি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়, তাহলে বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নিয়ে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায় তাও শেখানো হচ্ছে। ’
সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে সবমিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।