কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পরকীয়ার জেরে সুমনকে (২২) সুপরিকল্পিতভাবে স্ত্রীসহ দুর্বৃত্তরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউনিয়ন সীমান্তঘেঁষা বড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন বড়াইবাড়ী গ্রামের মোতালেবের ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে পুত্রবধূ সোমা খাতুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মোতালেবের ছেলে সুমনের সাথে পার্শ্ববর্তী কলাবাড়ি গ্রামে শুকুর আলীর মেয়ে সোমা খাতুনের সাথে চার মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সোমা খাতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। সোমার এ সম্পর্কের বিষয়টি বিয়ের পরপরই শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারেন এবং সোমার বাবা-মাকে অবগত করেন। তারাও বিষয়টি জানার পর মেয়েকে চাপের মুখে রাখেন। পরে সোমা প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামী সুমনকে সুযোগ বুঝে ঘটনার দিন তিন-চারজন মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সূত্র আরো জানায়, সুমনকে হত্যার পর মধ্যরাতে তিনি শ্বশুর-শাশুড়িকে বলেন যে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় পরিবারের লোকজনের চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।