ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর গত ৫ দিনে তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৪ হাজারে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দুই দেশের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে মোট ২৩ হাজার ৭১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ২৩ হাজার ৭১৩ জনের মধ্যে তুরস্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ২২৩ জনের মরদেহ এবং সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
বিধ্বংসী সেই ভূমিকম্পের পরপরই ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন তুরস্ক ও সিরিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী সদস্যরাও।
এরই ধারাবাহিকতায় উদ্ধারকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, চারটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ও ১০টন উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রীসহ ৪২ জন বেসামরিক সদস্যের ব্রাজিলিয়ান একট প্রতিনিধি দল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার বিমান বন্দরে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্তুগিজের আরেকটি উদ্ধার দল বৃহষ্পতিবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ শহর থেকে অদূরে দক্ষিনাঞ্চলের প্রদেশ আদানাতে পৌঁছায়। দলটির সঙ্গে ১৩ টন ত্রাণ সামগ্রী ও ৬টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রয়েছে।
ভূমিপকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ সিরিয়াতেও জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ১৪টি ট্রাক দেশটির উত্তর-পশ্চিম এলাকার ইদলিব প্রদেশের বাব আল হাওয়া সীমান্ত অতিক্রম করেছে, যেটি কিনা তুর্কীর দক্ষিণে অবস্থিত হাতায় প্রদেশের সিল্ভেগজু সীমান্ত গেইট হয়ে প্রবেশ করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এই সব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এর আগে বৃহষ্পতিবার ৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ তুরষ্কের ইদলিব শহরে পৌঁছায়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।