28 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

হাসপাতালের ওয়ার্ডে কুকুরের অবাধ ঘুরাফেরা

লেখক থেকে আরো

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা হাসপাতালে।

কোনো ওয়ার্ডের শৌচাগারেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। এমনকি ওয়ার্ডের মধ্যে অবাধে কুকুর পর্যন্ত চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

হাসপাতালটিতে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা জানান, সেখানে হাত-মুখ ধোয়ার বেসিন নেই, পানির কল নষ্ট।টয়লেটের ভেতরে ময়লা ভর্তি আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে প্রায় কিছুই নেই।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় পুরোদমে কার্যক্রম। হাসপাতালের শৌচাগারগুলো দিনে অন্তত একবার পরিষ্কার করার কথা। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সেগুলো আর পরিষ্কার করা হয় না। রোগীর চাপ থাকায় শৌচাগারগুলো অনেক তাড়াতাড়ি নোংরা হয়।

জানা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একটি টয়লেটে পানি জমে আছে। বাকি শৌচাগারগুলো নোংরা ও অপরিষ্কার। পুরুষ ওয়ার্ডের শৌচাগারের অবস্থাও একই। প্যানের ওপর ময়লা ভেসে আছে। নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই। এছাড়া ওয়ার্ডে অবাধে চলাফেরা করছে কুকুর। সার্জারি ওয়ার্ডে শৌচাগারের অবস্থা আরও শোচনীয়। টয়লেটের উপরিভাগে আবর্জনার স্তুপ পড়ে গেছে।

রোগীরা জানান, সার্জারি ওয়ার্ডের টয়লেটগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে সুস্থ মানুষ সেখানে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। সবাই নাক-মুখ চেপে ধরে টয়লেট ব্যবহার করছে। অনেকেই আশেপাশের বাড়িতে গিয়ে শৌচকার্য সারেন।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. গোলাম রসুল রাখি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলতে পারবো না।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ