ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৬ বছর বয়সী এই মারকুটে ব্যাটার দীর্ঘদিন ধরে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলা চালিয়ে যাবেন ফিঞ্চ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে ফিঞ্চের অবসরের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনি বলেন, ‘আমি বিগ ব্যাশটা খেলতে চেয়েছি এবং এরপর ভাবতে চেয়েছি। বিগ ব্যাশের একটি ম্যাচের পর আমার শরীরে ব্যথা হচ্ছিলো। এটা ঠিক হতে দু’দিন সময় লেগেছে। ম্যাকডোনাল্ড (মেলবোর্ন রেনেগেডসের কোচ) আমাকে বলেছেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সময় নাও, বিষয়টি নিয়ে ভাবো। এটা আবেগী কোনো বিষয় নয়।’
তবে এখানেই নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখতে পাচ্ছেন ফিঞ্চ। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবেছি। সবাই এখন ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছে আর প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেকে আমি সেখানে দেখতে পাচ্ছি না। ১২ বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে পারার জন্য আমি নিজেকে চরম ভাগ্যবান মনে করি। আমি মনে করি, দল এখন খুব ভালো অবস্থায় আছে। এখন আমি চলে যেতে পারি।’
২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে আসার আগে আরও ৪ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন ফিঞ্চ। ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি ১৪৬টি ওয়ানডে, ১০৩টি টি-টোয়েন্টি এবং ৫টি টেস্ট খেলেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭৬টির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি, এর মধ্যে ৪০টি ম্যাচ জিতেছেন ফিঞ্চ। তার সবচেয়ে বড় সাফল্য অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতানো। ওয়ানডেতে অবশ্য তিনি দলকে মাত্র ৫৫ ম্যাচেই নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটি তার। ২০১৮ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৬ বলে করেছিলেন ১৭২ রান। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা আর রান করা ব্যাটসম্যানও ফিঞ্চই। ১০৩ ম্যাচে তিনি করেছেন ৩১২০ রান। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন আরেক অজি ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার (২৮৯৪ রান)।