মানিকগঞ্জ জেলায় আকিহিতো মিচিকো নার্সিং কলেজে নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যা পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষক ছাড়া। পড়তে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্য।
প্রতিষ্ঠানটিতে সেকশন শুরু হয়ে তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের জন্য মাত্র একজন প্রিন্সিপাল আছেন।
এ ছাড়া আর কোনো স্থায়ী শিক্ষক নেই। অথচ ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের শিক্ষা প্রদানে থাকার কথা অন্তত আরও ছয় জন শিক্ষক।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা গেছে, দিন প্রতি ২০০ টাকা পারিশ্রমিকে আকিহিতো মিচিকো নার্সিং কলেজে অতিথি হিসেবে শিক্ষকরা এসে পাঠদান করেন। প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল দেলোয়ারা আক্তারের দাবি, এভাবেই নাকি সারা দেশের প্রাইভেট নার্সিং কলেজগুলো চলে!
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান আকিহিতো মিচকো নার্সিং কলেজ। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে চলছে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। সরকারিভাবে নিবন্ধিত হলেও কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজস্ব ব্যবসায়িক চিন্তা ধারায় কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে যতজন শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের অধ্যয়নের জন্য নার্সিং কলেজটিতে প্রয়োজন অন্তত ৬জন শিক্ষক। কিন্তু তাদের ‘সব কিছু একাই করেন’ প্রিন্সিপাল দেলোয়ারা আক্তার। এতে করে আকিহিতো মিচিকো নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই। শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় ফেল হওয়ার ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।