বহু আকাঙ্ক্ষিত লেপার্ড ২ ট্যাংকের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাইছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এ আহ্বানের প্রেক্ষিতে পুনরায় স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন, বার্লিন কোনোভাবেই ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাবে না।
কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র বিতর্ক ও মিত্রদের চাপের মুখে গত বুধবার শোলজ ১৪টি লেপার্ড ২ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তাব পাস করেন। একই সাথে তিনি ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোর কাছে বিক্রি করা এ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে পারবে বলেও সম্মতি দেন। জার্মানির এ ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে ৩১টি আব্রাম ট্যাংক প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল, রাশিয়ার মোকাবেলায় তাদের উন্নতমানের ট্যাংক প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তারা জার্মানির কাছে লেপার্ড ২ ট্যাংক সরবরাহের দাবি জানায়। কিন্তু জার্মানি তাদের এ দাবিতে সাড়া না দিলে ইউক্রেনসহ পশ্চিমা বিশ্ব জার্মানির সমালোচনায় মাতে। রাশিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে জার্মানি জানিয়েছিল, এ ট্যাংক দেওয়ার মাধ্যমে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ন্যাটোর জড়িয়ে পড়া প্রমাণিত হবে। কিন্তু তারপরও মিত্রদের চাপ ও সমালোচনার মুখে তারা এ ট্যাংক দিতে সম্মত হয়।
মস্কো ইতোমধ্যেই বার্লিনের প্রতিশ্রুতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে শোলজ আরও বলেন, ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো যুদ্ধ নেই। আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি আর বাড়াতে দেব না। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। আমি আবারও তার সাথে ফোনে কথা বলবো।
সূত্র আল জাজিরা