25 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০২৪

কারাগারে ৪ বছরে সাড়ে ৩ শতাধিক কয়েদির মৃত্যু

লেখক থেকে আরো

কারাগারের ভেতরে মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। গত চার বছরে প্রায় সাড়ে ৩০০ কারাবন্দীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি এক দিনেই গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই বন্দীর মৃত্যু হয়। এ মৃত্যু নিয়ে এক সংস্থা দায় চাপাচ্ছেন অন্য সংস্থার ওপর।

কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, রিমান্ড ফেরত আসামিদের বেশিরভাগই অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে আসেন। এরপর কিছুদিনের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। আর পুলিশের পক্ষ থেকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। যদিও কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগারের ভিতর আসামি বা বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে মানবাধিকার কর্মীদের মতে কারাগার অথবা পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছরের জুলাই পর্যন্ত কারাগারে ৩২৮ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ১২৩ ও আটক ২০৫ জন। বছর হিসেবে ২০১৮ সালে ৭৪ জন, ২০১৯ সালে ৫৮ জন, ২০২০ সালে ৭৫ জন, ২০২১ সালে ৮১ জন ও ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ৪০ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আবার অনেক বন্দীর মৃত্যু হয়েছে যাদের বয়স সত্তরোর্দ্ধ। সঠিক চিকিৎসা না দেয়ার কারণে তারা দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হন। এছাড়া কারাগারে আত্নহত্যার মতো ঘটনাও রয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে রিমান্ড ফেরত আসামিরাও কারাগারে মারা যান। এক্ষেত্রে পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে থাকেন।

এসব বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্যে পাওয়া যায়নি। তবে অসুস্থ অবস্থায় বন্দী বা আসামিদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেলে, সে সংক্রান্ত একটি মৃত্যু সনদ প্রদান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওইসব মৃত্যু সনদে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বয়স বিবেচনায় বার্ধক্যজনিত কারণ এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান-এরকম কারণ উল্লেখ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু সনদে ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণ ও কিডনী ও লিভার জটিলতার কারণ উল্লেখ করা হয়।

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ