সারাবিশ্বে বিবাহবিচ্ছেদের হার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তবে পরিসংখ্যানে দেখা যায় পুরুষের চেয়ে ডিভোর্সে নাকি নারীদের ঝোঁক বেশি। এর কারণ হিসেবে কিছু বিষয় সামনে আসে।
বর্তমানে পুরুষের পাশপাশি নারীরাও আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে কর্মক্ষেত্রে পায়ে পা মিলিয়ে চলছে। সব নারীই এখন নিজ পায়ে দাঁড়াতে চান। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ও সফল হতে চান।
এমনকি বিয়ের পরও স্বাধীনভাবে চলার স্বপ্ন দেখেন নারীরা। তবে বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার তার ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্নভঙ্গ করলেই দেখা দেয় দাম্পত্য কলহ। এটি একসময় বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর চেয়ে পুরুষরাই বিয়ের পর বেশি সুবিধা ভোগ করেন। একজন নারী সন্তান, পরিবার, কাজ, অফিস সব মিলিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করেন। তবুও যখন স্বামী ও পরিবারের কটূ কথা শুনতে হয়, তখন প্রতিবাদ করতে গেলেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে একসময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
সম্পর্কবিদদের মতে, সঙ্গী বিভিন্ন বিষয়ে অসমর্থন করলে নারীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। একজন নারী সবসময় তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক সমর্থন আশা করেন। তবে স্বামীর মনমতো না চলার কারণে অনেক নারীই সংসারে বিদ্রুপ ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। এ কারণে বেশিরভাগ নারীরাই একাকিত্বে ভোগেন।
বিভিন্ন কারণে নারীরা তার মনের কষ্ট অন্যের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন না। ফলে তার মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে, যা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
নারীদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঝোঁক বাড়ার আরও এক কারণ হলো, এখন নারীরা আর্থিকভাবে পুরুষের ওপর নির্ভরশীল নন। এ কারণে স্বামীর অগ্রাহ্য, প্রতারণা কিংবা অবহেলা সহ্য করে এখন আর কোনো নারীই সংসার করতে চান না।
বিশ্বাসঘাতকতা, মানসিক নির্যাতন বা কোনো ধরনের ক্ষতিকর আচরণের সম্মুখীন হলে নারীরা নিজ থেকেই বিবাহবিচ্ছেদ চান স্বামীর কাছে।