ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই হাজার হাজার তাবলীগ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লির দল মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। হাজার হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান প্রায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাস, ট্রাক, ট্রেন পায়ে হেঁটে টুপী-পাঞ্জাবী পরিহিত মুসল্লিরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসছেন। করোনার কারণে গত দুবছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার তাবলীগের এ মহাসম্মেলনে যোগ দিতে আগেভাগেই মুসল্লীর মাঠে এসে উপস্থিত হচ্ছেন। ময়দানে আসা মুসল্লিদের জমিয়ে রাখতে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয় আম বয়ান।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে মূল পর্ব শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয়েছে আম বয়ান। ইজতেমা ময়দান প্রায় দুই মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি প্রায় সকল কাজ শেষ করেন। প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল মাঠটিকে বাঁশের খুঁটির উপর চটের ছাউনির প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মুসল্লিদের বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা মাইক। বয়ান ও দোয়া ম ছাড়া নামাজের মিম্বরও তৈরি করা হয়েছে আলাদাভাবে। দেশীয় তাবলীগের মুসল্লীদের জন্য জেলাওয়ারী আলাদা আলাদা স্থান (খিত্তা) ভাগ করা হয়েছে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অ ল থেকে মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় এমে অবস্থান নিচ্ছেন। বুধবার সন্ধ্যার আগেই প্রায় পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। টুপী-পাঞ্জাবী পড়া মুসল্লীরা বাস-ট্রাক, নৌকা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে এখনও মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে আসছে।
বিদেশি তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ময়দান এলাকায় থাকছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, র্যাবের কন্ট্রোল রুম। আরব, ইউরোপসহ কয়েকটি দেশের মুসল্লীরাও ইতোমধ্যে ইজতেমা মাঠের বিদেশী মেহমানদের প্যান্ডেলে অবস্থান নিয়েছেন।