২০০০ সালে ফিফা যখন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে সর্বকালের সেরা অভিহিত করে, তখন বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি দিয়েগো ম্যারাডোনা ভক্তরা। ম্যারাডোনা নিজেও ছিলেন বিরোধীদের দলে। কিন্তু সেই ম্যারাডোনাই পরে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, পেলেই সর্বকালের সেরা।
যদিও আজও পেলে না ম্যারাডোনা- কে সেরা এ নিয়ে বিভক্ত ফুটবল বিশ্ব। একপক্ষ পেলেকে, অন্যপক্ষ ম্যারাডোনাকে সেরা মানতে চান। কিন্তু যেখানে ম্যারাডোনা নিজেই সমাধান বাতলে দিয়েছিলেন, সেখানে আর বিতর্কের কোনো অবকাশ থাকে না।
বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন পেলেন। তাকেই সেরা স্বীকার করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। কয়েক বছর আগে দেয়া এক টিভি সাক্ষাৎকারে পেলের সঙ্গে নিজের তুলনা প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘না, না, ম্যারাডোনা ম্যারাডোনাই। পেলে সেরাদের সেরা। আমি শুধুই একজন সাধারণ খেলোয়াড়। আমি পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই না। সবাই জানে তিনি (পেলে) সর্বকালের সেরা।’
এক সময় সবাই বলতো পেলে এবং ম্যারাডোনার মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। বিশেষ করে ম্যারাডোনা পেলেকে সেরা মানতে রাজি নন। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক যে খুবই ভালো ছিলো, একে অপরের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল সেটা নানা সময়ে দু’জনের ছবি দেখলেই বোঝা যায়। একে অপরের গভীর শ্রদ্ধাও ছিলো তাদের মধ্যে।
পেলে এবং ম্যারাডোনা কখনও একে অপরের বিপক্ষে খেলেননি। কারণ, ম্যারাডোনার ক্যারিয়ার যখন শুরু, পেলে তখন অনেক বছরের সাবেক। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ খেলেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। আর ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার শুরু হয় তারও একযুগ পর, ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে।