জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নয়াপাড়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল বাসার সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের ছোট বোন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিউলী বেগম জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ডাকাতদল বাসার পেছনের গেটের তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে পেছনের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। প্রথমে ডাকাতদল তার বৃদ্ধ মায়ের রুমে গিয়ে তার মাকে জিম্মি করে।
মায়ের চিৎকারে অন্য রুম থেকে তারা তিন বোন ও কাজের মেয়ে মায়ের রুমে আসেন। রুমে আসা মাত্রই ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের গলায় ও হাতে থাকা স্বর্ণের গহনা লুট করে।
ছয়-সাতজন ডাকাত সদস্য ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে রাখে এবং অন্য ডাকাত সদস্যরা প্রতিটি রুমে ঢুকে আলমারি, শোকেস ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ প্রায় ২০ লাখ টাকা, ৩টি মোবাইল ফোন ও আনুমানিক ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। ওই বাসায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী লুটপাট চালায় ডাকাতদল। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর বাসার লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শাহীনা বেগম জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমি ঢাকায় ছিলাম। গভীর রাতে ডাকাতদল আমার মা-বোনদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি। ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছি। বাড়ি ফিরে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, রাতে টহল ডিউটির দায়িত্ব পালনকালে ওসি তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়েই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত নয়াপাড়ায় পৌঁছেন তিনি। পুলিশ যাওয়ার আগেই ডাকাতদল পালিয়ে যায়।