শীতের ঠান্ডা শুকনো বাতাসে সবারই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে পড়ে। আর এই সময় প্রণভরে হাসাও দায়। তাই ঠোঁটের অতিরিক্ত যত্নও জরুরি। আগেভাগে একটু সচেতন হলে সহজেই ঠেকাতে পারবেন শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়ার এই সমস্যাকে।
আপনি চাইলে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে পারেন। চলুন জেনে
নেওয়া যাক তেমন কিছু উপায়।
- ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই নারকেল তেলের ব্যবহার দেখা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে নিয়মিত নারকেল তেল লাগাতে পারেন।
- ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলে অ্যালোভেরার রস ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
- পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু জানেন কি, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেলে তা আপনার ঠোঁট নরম রাখতেও সাহায্য করবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে ‘ডার্ক লিপ্স’য়ের সমস্যা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- ঠোঁট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। যেমন: ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফল লেবু, জাম্বুরা, কমলা বেশি করে খান।
- বারবার জিভ দিতে ঠোঁট ভিজালে ঠোঁট আরও ফেটে গিয়ে চামড়া উঠে যায়, রক্তও পড়তে পারে। তাই ঠোঁট নরম রাখতে হলে এই অভ্যাস ছাড়ুন।
- মেয়েরা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। ঠোঁটের ত্বকের ক্ষেত্রে যদি ভালো প্রসাধনী ব্যবহার না করেন তবে ঠোঁট শুকিয়ে গিয়ে
- এক ফোঁটা ঘি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্কতা কমিয়ে ঠোঁট নরম রাখতে সাহায্য করবে।
- অলিভ অয়েলে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ত্বকের শুষ্কতা দূর ও ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে পারে। দিনে দুবার ঠোঁটে অলিভ অয়েল মাখলে ঠোঁট নরম ও মসৃণ হয়।
- টাটকা গোলাপের পাপড়ি কাঁচা দুধে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর সারা দিনে অন্তত তিনবার এটা ঠোঁটে লাগান। দুধের সর বা মাখন ঠোঁটে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে কালচে ভাবও চলে যাবে।