বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণসামববেশ করতে চায়। এজন্য ডিএমপি’র কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দলটি।
পুলিশ নিরাপত্তাসহ নানার বিষয় পর্যবেক্ষণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৬ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে চায়।
এ বিষয়ে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা যেখানে অনুমতি দিয়েছি সেখানেই তারা করবে আশা করি। এখনো সময় আছে, বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে আশা করি।
শনিবার রাজধানীর রাজারবাগে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশি অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। বিশেষ অভিযানের নামে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, আইনের মধ্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। নিয়মের বাইরে কাউকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার গায়েবি ও মিথ্যা মামলা এবং বিশেষ অভিযানের নামে নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে আইজিপি বলেন, পলাতক জঙ্গিদের ধরতে আভিযানিক কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। আর বিএনপি যে অভিযোগ দিয়েছে এগুলো খতিয়ে দেখছি।
এদিকে গণসমাবেশ নিয়ে বিএনপিকে চাপে রাখার পাশাপাশি অনুমতি না দেয়ার বিষয়ে অনড় সরকার। বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চড়াও হবে বিএনপির ওপর। পথে পথে বাধা সৃষ্টি করবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে গণসমাবেশ করতে চায়। আর আওয়ামী লীগ, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বিএনপিকে সমাবেশ করার জন্য বলে আসছে। নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করার জন্য অনড় থাকলে আওয়ামী লীগ ও সরকারের কৌশল কী হবে, এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর থেকে নয়াপল্টনে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেবে। এমনটা হলে সেখানে বিএনপি সমাবেশ করতে পারবে না।