আর্জেন্টিনার জার্সিতে স্বপ্নের অভিষেক ২০০৫ সালে। তখন বয়স মাত্র ১৮ বছর লিওনেল মেসির। স্বপ্নপূরণের সে দিনটাই হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়। মাঠে নামার ৪০ সেকেন্ডের মাথায় দেখেছিলেন লাল কার্ড! হাঙ্গেরির বিপক্ষে শুরুতে বেঞ্চে ছিলেন মেসি।
৬৪ মিনিটে মাঠে নামেন লিসান্দ্রো লোপেজের বদলি হয়ে। মাঝমাঠে বল পেয়ে শুরু করেছিলেন নিজের বিখ্যাত সেই দৌড়। গায়ের সঙ্গে তখন লেগে ছিলেন হাঙ্গেরির ডিফেন্ডার ভিলমোস ভানচাক। মেসিকে আটকাতে না পেরে একটা সময় টেনে ধরেন জার্সি। পড়েও যান হঠাৎ করে। কিন্তু রেফারির মনে হয়েছিল মেসি কনুই দিয়ে আঘাত করেছেন সেই ডিফেন্ডারের মুখে! ব্যস, সরাসরি লাল কার্ড। আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা রেফারিকে ঘিরে ধরেও কোনো লাভ হয়নি। তখন তো আর ভিএআর ছিল না।
৪০ সেকেন্ডে লাল কার্ড দেখার পর কেউ কি ভেবেছিলেন, এই মেসিই একদিন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবেন আর্জেন্টিনার হয়ে? সেটাই হয়েছে। জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৬৮ ম্যাচ খেলার রেকর্ড তাঁর। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা হ্যাভিয়ার মাসচেরানোর ম্যাচ ১৪৭টি। জাতীয় দল ও ক্লাব ক্যারিয়ার মিলিয়ে আজ অনন্য এক কীর্তি গড়তে চলেছেন মেসি। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের হাজারতম।
ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন মেসি। কাতালান এই ক্লাবটিতে খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ৭৭৮ ম্যাচ। নতুন ক্লাব পিএসজির হয়ে মাঠে নেমেছেন ৫৩ বার। সব মিলিয়ে মেসির পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যাচ ৯৯৯টি। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে আজ মেসি ছুঁতে যাচ্ছেন হাজার ম্যাচের মাইলফলক।
আন্তর্জাতিক পেশাদার ফুটবলে হাজারের বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার হাতে গোনা। আর্জেন্টাইনদের মধ্যে এই কীর্তি আছে কেবল হ্যাভিয়ার জানেত্তির। ৪০ বছর পর্যন্ত ফুটবল খেলা জানেত্তির ম্যাচ ১১০০’র বেশি।