সৌদি আরবের কাছে হারের পর কান পাতলেই শোনা যায় আর্জেন্টিনার হাহাকার। তাদের সমর্থকদের আহাজারি এবং দলের ক্যাম্পে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশের দৃশ্য দেখে কল্পনা করা যায় বুয়েনস এইরেসে বা পুরো আর্জেন্টিনার প্রত্যাশার ছবিটা। দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে স্মরণ করতে আর্জেন্টিনার সোনালি সময়ের তারকারাও এখন দোহায়। বলা যায়, কাতারে এখন আর্জেন্টাইন ফুটবলের মিলনমেলা।
একদিক থেকে এই মিলন যেমন শোকের, আবার শোকমুক্তিরও হতে পারে। সৌদি আরবের ধাক্কায় নেতিয়ে পড়া আর্জেন্টাইন ফুটবলকে জাগিয়ে তোলার উপলক্ষ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। সুতরাং ম্যারাডোনার মৃত্যুবার্ষিকীর পরের দিন মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটিকে ঘিরে এক ঐতিহাসিক বাতাবরণও হয়েছে চারদিকে। এই ম্যাচ পারে খাদের কিনার থেকে আর্জেন্টিনাকে টেনে তুলতে। এই ম্যাচ পারে প্রয়াত ম্যারাডোনার শোক ভোলাতে। পারে লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপকে নতুনভাবে রাঙাতে।
মেক্সিকো এমনিতে খুব বড় প্রতিপক্ষ নয় আর্জেন্টিনার। কিন্তু সময় এই ম্যাচটিকে আর্জেন্টিনার ভূত-ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছে। সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচ হারে তারা পড়েছে মহাবিপাকে। তাই মেক্সিকোর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও জয়ের বিকল্প কিছু ভাবতে পারছেন না, ‘আমরা মেক্সিকো ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। এটা সম্পূর্ণ আলাদা ম্যাচ, যদিও আমাদের খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আমরা একইভাবে এই ম্যাচটা খেলতে নামছি, যেখানে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই আমাদের। ’ গ্রুপে বাকি আছে দুটি ম্যাচ। শেষ ১৬-তে পৌঁছতে হলে আলবেসেলেস্তেদের জিততে হবে দুটিই। সেদিক থেকে লুসাইল স্টেডিয়ামে আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে ‘সেমিফাইনাল’ খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা।